ভারত মনে করে বাংলাদেশে সংবিধানের আলোকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হবে

  বিশেষ প্রতিনিধি    11-08-2023    107
ভারত মনে করে বাংলাদেশে সংবিধানের আলোকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হবে

বাংলাদেশে সংবিধানের আলোকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হবে বলে ভারত বিশ্বাস করে।এজন্য নির্বাচন নিয়ে তাদের কোনো মন্তব্য নেই।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিকে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ভারত ফেরত প্রতিনিধিদলের সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান আওয়ামী লীগ নেতারা।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের ভূমিকা কি থাকবে-এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ভারত পার্শ্ববর্তীদেশ। তাদের সাথে আমাদের কানেকটিভিটি অনেক বেশি। পার্সন টু পার্সন কানেকশন, আপনারা জানেন।বাংলাদেশে কি হচ্ছে তারা সবকিছু জানে।রাজনৈতিক অর্থনৈতিক কিছু বিষয়ে তারা জানে।তাদের আগ্রহ আছে।

‘নির্বাচন কবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ সরকার।এখানে ভারতের কিছু করার নাই। ভারত নির্বাচনে কী করবে? তাদের কিছু করার নাই। তারা কোনো মন্তব্য করে নাই।’

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ভারতের জন্য চীন সব সময় দুশ্চিন্তার ফ্যাক্টর। সেজন্যই তাদের সীমান্তে মাঝে মাঝে উত্তেজনা তৈরি হয়। আমরা বলেছি আমাদের পররাষ্ট্রনীতি সবার সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে শত্রুতা নয়। সেই নীতি নিয়েই আমরা চলি।কিন্তু ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক রক্তের অক্ষরে লেখা। এই সম্পর্কের সাথে কারো সম্পর্ক তুলনীয় নয়। সেই প্রসঙ্গে এই বিষয়টি এসেছে।

ভারতের সফরসঙ্গী তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিএনপির বিদেশ প্রীতি তাদের আছে ধর্না দেওয়া কমে নাই। সেটি করে যেকোনো লাভ হচ্ছে না সেটা অনুধাবন করতে পেরেছে। সেজন্য এই সুরে কথা বলছে।আমরা ভারত গেছি আমাদেরকে আমন্ত্রণ জানানোর প্রেক্ষিতে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিসে যাওয়ার জন্য ইচ্ছা পোষণ করেছেন। তারা নিজেরা ধর্না দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যায়। ধর্না দিয়ে যে লাভ হচ্ছে না সেটা তারা অনুধাবন করতে পেরেছে। সেজন্য তারা এখন উল্টা কথা বলা শুরু করেছে।

‘আমরা যাদের সাথে আলোচনা করেছি, তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে বাংলাদেশে সংবিধানের আলোকে নির্বাচন হবে।এখানে যে সমস্ত দাবিগুলো আছে সেগুলোর প্রয়োজন নাই- এটা তারা বুঝে। তারা মনে করে সংবিধানের আলোকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট বাংলাদেশ হবে।’

তিনি বলেন, তবে আমাদের সাথে জঙ্গিবাদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জঙ্গিদের একটি ক্রস বর্ডার কানেকশন রয়েছে। এটা নিয়ে তারা ওয়াকিবহাল আছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে আগামী নির্বাচনে জামায়াতের সহিংসতার বিষয়ে ভারতীয়দের ধারণা আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রের দায়িত্ব আমাদের সাথে আলোচনা হয়নি। দুই দেশেই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার জন্য উভয় দেশের গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে যোগাযোগ আছে। তথ্য আদান প্রদান করা হয়।

বিএনপির প্রসঙ্গ তুলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, তারা বিদেশিদের ওপর নির্ভর করে এখন দেখেছে যে কিছু নাই, পানিতে ডুবে যাবে। বাংলাদেশের মানুষই নির্ধারণ করবে ভবিষ্যৎ রাজনীতি কার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে সফরে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আরমা দত্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ও কার্যনির্বাহী সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান।

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিনিধিদলের ৫জন সদস্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও উপ-প্রচার সম্পাদক আব্দুল আওয়াল শামীম।

জাতীয়-এর আরও খবর