পাহাড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর গোলাগুলি, কেএনএফ সদস্য নিহত

  বিশেষ প্রতিনিধি    29-01-2023    200
পাহাড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর গোলাগুলি, কেএনএফ সদস্য নিহত

বান্দরবানের রুমায় দুর্গম অঞ্চলে পাহাড়ের অস্ত্রধারী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। এতে জলপাই রঙের পোশাক পরিহিত এক সন্ত্রাসীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত অস্ত্রধারী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সদস্য বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা লাশ উদ্ধার করেছে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র-গুলি পাওয়া গেছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানান, রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নে দুর্গম অঞ্চলে পার্বত্য চট্টগ্রামের অস্ত্রধারী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। কয়েক দিন ধরে দফায় দফায় গোলাগুলির ঘটনাগুলো ঘটেছে। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে জলপাই রঙের পোশাক পরিহিত এক সন্ত্রাসীর মৃত্যু হয়েছে।

নিহতের নাম লালথান জুয়াল বম এবং তার বাড়ি আর্তাপাড়ায় বলে জানা গেছে। নিহত অস্ত্রধারী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্য। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ১টি অস্ত্র এবং ৩০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে।

এদিকে সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ সন্ত্রাসীদের নির্যাতন অত্যাচারে রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের মুয়ালপি পাড়া থেকে পাড়া প্রধান কার্বারী সাকনাও মারমার নেতৃত্বে শিশুসহ ৪০ জন গ্রামবাসী পালিয়ে রুমা সদরে আশ্রয় নিয়েছেন।

পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উহ্লা মং মারমা বলেন, সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নির্যাতনে পাহাড়ে জুমে উৎপাদিত ফসল আদা-হলুদ এবং বিভিন্ন ফলন তুলতে পারছে না গ্রামবাসী। পাড়াবাসীদের জিম্মি করে খাদ্য সংগ্রহের কারণে রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মুয়ালপি পাড়া থেকে পাড়া প্রধান কার্বারী সাকনা অং মারমার নেতৃত্বে শিশুসহ ৪০ জন গ্রামবাসী গ্রাম ছেড়ে রুমা সদরে পালিয়েছে এসেছে। তাদের বর্তমানে মারমা অ্যাসোসিয়েশনের ক্লাব ঘরে আশ্রয় এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, এ ঘটনায় রুমা থানায় মামলা করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের নির্যাতনে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে রুমা সদরে আসা ৪০ জন পাড়াবাসীর মারমা অ্যাসোসিয়েশনের ক্লাব ঘরে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে থাকা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন শিবলী বলেন, পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিরাপত্তার বাহিনীর গোলাগুলি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

সারাদেশ-এর আরও খবর