মানুষ বন্ধক রেখে ইয়াবা কারবার : চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার, বিদেশী অস্ত্রসহ ৪ লাখ ১০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

  বিশেষ প্রতিনিধি    28-08-2022    110
মানুষ বন্ধক রেখে ইয়াবা কারবার : চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার, বিদেশী অস্ত্রসহ ৪ লাখ ১০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আনার পর মানুষ বন্ধক রাখার বিনিময়ে স্থানীয় মাদক কারবারীদের কাছে ইয়াবা সরবরাহ করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোছেন গ্রুপ। পরে টাকার জন্য বন্ধক রাখা মানুষটির উপর চালায় অমানুষিক নির্যাতন। অনেক ক্ষেত্রে হত্যাও করা হয়। চক্রটি কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিশাল এলাকায় মাদকের চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ । শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত কক্সবাজারের উখিয়া থেকে নবী হোছেন গ্রুপের ৫ সদস্যকে গ্রেফতারের পর এমন চাঞ্চল্যকার তথ্য পেয়েছেন বলে দাবী করেছে র‌্যাব। ধৃতরা হলেন, নবী হোছেন গ্রুপের মাদক চোরাচালানের প্রধান আব্দুল্লাহ রাজ্জাক ওরফে রাজ্জাক মাঝি, ইলিয়াছ, সাহেদ, মো. আয়াছ ওরফে আজিজুল ও সাইফুল ইসলাম। এরমধ্যে রাজ্জাক মাঝি ও আজিজুল হক রোহিঙ্গা। বাকি ৩ জন বাংলাদেশী। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একে-২২ এর ভয়ঙ্কর অস্ত্র ও আমেরিকায় তৈরি একটি বিদেশি পিস্তল, একটি এসবিবিএল এবং ১৭ রাউন্ড গুলি এবং ৪ লাখ ১০ হাজার ইয়াবা। এনিয়ে শনিবার দুপুরে র‌্যাব ১৫ এর সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল ইসলাম সরকার বলেন, কক্সবাজারের উখিয়াার কোটবাজার থেকে টেকনাফের সাবরাং পযন্ত এলাকায় সকল প্রকার সন্ত্রাস এবং মাদক চোরাচালানের নিয়ন্ত্রণ করে দুই রোহিঙ্গা নবী হোসেন । নবী হোসেন তার সশস্ত্র সন্ত্রাাসীদের মাধ্যমে এলাকাটি নিয়ন্ত্রণ করে এবং রাজ্জাক মাঝি ইয়াবা পরিবহন ও বিতরণের বিষয়গুলো দেখভাল করে। চক্রটি মানুষকে বন্ধক রেখে স্থানীয় মাদক কারবারীদের কাছে ইয়াবা সরবরাহ করে। পরে সেই ইয়াবার মূল্য পরিশোধে ব্যর্থ হলে বন্ধককৃত মানুষকে নানাবিধ শারিরীক নিযাতন এবং ক্ষেত্রে বিশেষে হত্যা পযন্ত করে থাকে। প্রতিমাসে চক্রটি বিশাল বিশাল ইয়াবার চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি চক্রটির প্রধান নবী হোসনকে ধরিয়ে দিতে পারলে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষনা দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি। এর প্রেক্ষিতে নানাভাবে র‌্যাব তৎপরতা শুরু করে। এক পর্যায়ে র‌্যাব জানতে পারে নবী হোসেনের চক্রটি মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করাবে। এর প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে উখিয়ার জামতলী এলাকা থেকে একটি বস্তাসহ আটক করা হয় ইলিয়াস নামে একজনকে। ওই বস্তা তল্লাশী করে এক লাখ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। পরে ইলিয়াসের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বালুখালীর কাকড়া ব্রীজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয় ৪ জনকে। তাদের কাাছ থেকে আমেরিকায় তৈরি একটি ৭.৬৫ পিস্তল, একটি একে-২২ রাউফেল, একটি দেশীয় তৈরি ওয়ানশ্যুটার গান ও মোট ১৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। লে. কর্নেল খাইরুল ইসলাম সরকার আরো বলেন, অপরাধীদের কাছে একে-২২ এর মত ভয়ঙ্কর অস্ত্র থাকাা মানে একটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। নবী হোসেনসহ পুরো চক্রটি ধরতে তারা কাজ করছেন। এছাড়া ধৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করে উখিয়া থানায় হস্তান্তরের করা রয়েছে বলেও জানান অধিনায়ক।

সারাদেশ-এর আরও খবর