নির্বাচনে ১১ আসনের ১৫ জায়গায় ভাঙচুর, মারধর, আগুন

  বিশেষ প্রতিনিধি    23-12-2023    55
নির্বাচনে ১১ আসনের ১৫ জায়গায় ভাঙচুর, মারধর, আগুন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১১টি আসনের ১৫টি জায়গায় নতুন করে নির্বাচনী সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল শুক্রবারের মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।

কোথাও মারামারি হয়েছে, কোথাও প্রতিপক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মারধর করা হয়েছে, কোথাও কোথাও প্রতিপক্ষের সভায় হামলা, নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর ও গাজীপুর সদরের আংশিক) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ ইকবাল হোসেনের পথসভায় গতকাল পাঁচটি জায়গায় হামলা হয়েছে।

নির্বাচনী প্রচার শুরুর পর পাঁচ দিনে এ নিয়ে ৩৬টি সংঘাতের ঘটনা ঘটল। আগের মতো নতুন ঘটনায়ও হামলা ও মারধরের শিকার বেশি হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকেরা। এবারের নির্বাচনে প্রচার শুরু হয় ১৮ ডিসেম্বর থেকে। বিএনপিবিহীন এই নির্বাচনে ২৬৪টি আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী রয়েছে। এর মধ্যে শতাধিক আসনে আওয়ামী লীগের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী দলের নেতারা, যাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। বাকিগুলোতে নৌকার প্রার্থীর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে ২৬ ও জোট শরিকদের ৬টি আসন ছেড়েছে। নির্বাচনী প্রচারকালে সংঘাতের ঘটনা ঘটছে মূলত নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে।

হামলা

গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর ও গাজীপুর সদরের আংশিক) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ ইকবাল হোসেনের পথসভায় গতকাল পাঁচটি জায়গায় হামলা হয়েছে। ওই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমানা আলী। বর্তমান সংসদ সদস্য ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। তাঁর কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ, গতকাল শিমলাপড়া, আক্তাপাড়া বাজার, কারওয়ান বাজার, আনন্দবাজার ও শিরিশগুড়ি নামের জায়গায় পথসভায় হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ছয়জন।

শ্রীপুরের মাওনা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নছু ভূঁইয়া আনন্দবাজার নামের একটি জায়গায় পথসভায় হামলার বিষয়ে বলেন, ‘এইখানে কোনো ট্রাক (ইকবালের প্রতীক) চলব না, বইলাই ভাঙচুর আর মারধর শুরু করে নৌকার কর্মীরা।যাঁদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করা হয়েছে, তাঁদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে নৌকার প্রার্থীর কর্মীদের একটি মিছিলে অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার পর বাধে দুই পক্ষের সংঘর্ষ। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের জয়বাংলা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কুষ্টিয়া-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ (জর্জ) প্রথম আলোকে বলেন, ‘ধারণা করছি স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুর রউফের নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা প্রতিনিধি সালেহীন সেলিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদেরও একটি ক্যাম্প ভাঙা হয়েছে। আমাদের দুজন কর্মী আহত হয়েছেন।

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের বরকতিয়া গ্রামে নৌকার প্রার্থী (পটুয়াখালী-৪) মো. মহিবুর রহমানের সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর চার সমর্থক আহত হয়েছেন। আহত মামুনের (৩০) অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমানের সমর্থকদের কয়েকজন অভিযোগ করেন, মহিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শোয়াইব খান মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। অবশ্য শোয়াইব খান বলেন, অভিযোগ মিথ্যা। তিনিই হামলার শিকার হয়েছেন। মহিপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের মধ্যে আগেই বিরোধ ছিল। এখন তা নির্বাচনী দ্বন্দ্বে পরিণত হয়েছে। কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। কার্যালয়ে আগুন, ভাঙচুর মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী (নৌকা) আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হকের অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে গতকাল ভোরে আগুন দেওয়া হয়। উপজেলার হেমায়েতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোজিৎ কুমার নন্দী বলেন, কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেনের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য খালেকুজ্জামান তাঁর নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও কর্মীদের মারধরের অভিযোগ করেছেন। গতকাল পোরশা উপজেলার তাঁতিপাড়া মোড়ে নিজ নির্বাচনী ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। খালেকুজ্জামানের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকেরা দুটি ভটভটিতে এসে ভাঙচুর করেন। এ সময় বাধা দিতে গেলে তিনজনকে মারধর করা হয়।

নৌকার প্রার্থীর সমর্থক পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন শাহ্ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, তাঁদের ওপরই হামলা হয়েছে।

পোরশা থানার ওসি আতিয়ার রহমান বলেন, ঘটনাটিতে দুই পক্ষই লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মৌলভীবাজার-৩ (মৌলভীবাজার সদর-রাজনগর) আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী মো. আলতাফুর রহমানের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। তাঁর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়টি মৌলভীবাজার পৌরসভার বড়হাটে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সেখানে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় পাঁচজন আহত হন। হামলার অভিযোগে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আলতাফুর রহমানের স্ত্রী ও জাতীয় মহিলা পার্টির মৌলভীবাজারের সভাপতি শাহজাদী বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে আরও ৮ থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

আলতাফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, হামলাকারীরা এসে বলেছেন, এখানে লাঙ্গল প্রতীক থাকবে না, নৌকা থাকবে। এ রকম পরিস্থিতি থাকলে নির্বাচন বর্জন করা হবে। মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার ওসি কে এম নজরুল প্রথম আলোকে বলেন, হামলাকারীরা বখাটে ধরনের। তাঁরা কোনো দলের কিছু নন।

ঝিনাইদহ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর নির্বাচনী ক্যাম্পেও হামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গোয়ালপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর পাঁচ সমর্থককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়। সমর্থকদের অভিযোগ, হামলা চালিয়েছেন নৌকার প্রার্থী তাহজীব আলম সিদ্দিকীর কর্মী-সমর্থকেরা। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি খুবই সামান্য। তাঁরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন।

ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার মো. তৌহিদ জং ওরফে মুরাদের অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনা ঘটে। অস্থায়ী কার্যালয়টি সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মজিপুরের সড়কের ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক-সংলগ্ন অংশে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে সাভার মডেল থানায় মামলা হয়। পুলিশ সাভার বাজার এলাকা থেকে বাংলাদেশ হকার্স লীগ সাভার পৌর শাখার সভাপতি নজরুল ইসলাম (৩৫) ও কোষাধ্যক্ষ মো. রিপন হোসেনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা দুজন আওয়ামী লীগের প্রার্থী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানের সমর্থক বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা। এনামুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘যদি কেউ দাবি করেন দায়ী ব্যক্তিরা আমার সমর্থক, তবে সেটি দুঃখজনক। এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত কেউ আমার সমর্থক হতে পারে না। দুই পক্ষের মারামারি, মারধর দুই পক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটে গতকাল রাজশাহীর বাগমারায়। এতে ছয়জন আহত হন।

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য এনামুল হক আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আবুল কালাম আজাদ। দুই দলের কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে আবুল কালামের স্ত্রী শায়লা খন্দকার কয়েকজন নেতা-কর্মী নিয়ে গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের চেউখালী এলাকায় প্রচার চালাতে গেলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। এতে মারামারি শুরু হয়।

ঘটনার জন্য দুই পক্ষ পরস্পরের ওপর দায় চাপিয়েছে। বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার প্রথম আলোকে বলেন, অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও বড় কিছু হয়নি।

দিনাজপুরের বিরামপুরে (দিনাজপুর-৬) স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আজিজুল হক চৌধুরীর নির্বাচনী জনসভায় বাধা এবং এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে নৌকার প্রার্থীর (শিবলী সাদিক) কর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় করা অভিযোগে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার ৫ নম্বর জোতবানী ইউনিয়নের কেটরা বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাসুন চৌধুরীকে মারধর করা হয়।

বিরামপুরের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) নুজহাত তাসনীম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সতর্ক করা হবে।

রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রাহেনুল হকের কর্মী নাজির হোসেনকে নৌকার প্রার্থীর কার্যালয়ে নিয়ে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলাটি হয় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটার পর। রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাইফুর রহমান গতকাল সকালে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় রাতেই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মাদারীপুরের ঘটনায় মামলা মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় বৃহস্পতিবার স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগমের সমর্থকদের মিছিলে হাতবোমা হামলার ঘটনায় গতকাল দুপুরে মামলা হয়েছে। এতে ৫৭ জনকে এজাহারভুক্ত এবং ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে তাহমিনা বেগমের সমর্থকদের মিছিলে ‘নৌকা নৌকা’ স্লোগান দিয়ে কয়েকটি হাতবোমা নিক্ষেপ করা হয়। কালকিনি থানার ওসি নাজমুল হাসান গতকাল দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্যদের অভিযান অব্যাহত আছে। মাদারীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ। স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য।

সারাদেশ-এর আরও খবর