দশ হাজার মানুষের স্বপ্ন পূরণ-উদ্বোধনের অপেক্ষায়

  বিশেষ প্রতিনিধি    17-07-2023    91
দশ হাজার মানুষের স্বপ্ন পূরণ-উদ্বোধনের অপেক্ষায়

কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার দুই ইউনিয়নের মাঝখানে সংযোগ স্থাপনকারী সেতুর পূর্ব পাশে লেমশীখালী মতির বাপের পাড়া গ্রাম পশ্চিম পাশে কৈয়ারবিল ইউনিয়নের সেন্টার পাড়া কাছাকাছি জনপদ হলেও আত্মীয়তার সম্পর্ক তৈরি করতে মানুষ ভয় পেতো। কারণ একটাই খাল পার হওয়ার অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। শত বছরের সেই দুর্ভোগ যাত্রা ঘুছে দিলো এই সেতু। এখন মানুষ নিমিষেই খাল পার হচ্ছে। যেন দুই বাংলা এক হলো। দশ হাজার মানুষের মনে আশা পূরণ হলো।

৬০ মিটারের সংযোগ সেতু প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলার এলজিইডির বাস্তবায়নয়ে নির্মিত হয়েছে শত বছরের অবহেলিত দুই ইউনিয়নের যাতায়াত এ সেতু নির্মান হওয়ায় প্রাণের উচ্ছ্বাস দুই পাড়ের মানুষের।

এ বিষয়টি নিশ্চিত কুতুবদিয়া উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী কপিল উদ্দীন কবির সিবিএনকে বলেন,কুতুবদিয়া উপজেলার দুই ইউনিয়নের মাঝখানে সংযোগ স্থাপনকারী সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সেতুটি উদ্বোধন করার অপেক্ষায় আছে।

স্থানীয় ছলিম উল্লাহ জানায়, এক সময় কলার ভেউরা দিয়ে লগি মেরে খাল পার হওয়া লাগত। এরপর নৌকা হলো। সর্বশেষ বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা সরকার সেতু করে দিলো। মাশাআল্লাহ এখন আর আমাদের কোনো দুর্ভোগ নেই। সেতুপাশে দোকানদার গিয়াস উদ্দিন বলেন, সেতুর সঙ্গে সড়কও পাকা হচ্ছে। বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হওয়ারও অপেক্ষায় এ গ্রাম।

স্থানীয় দুই ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন ও আজমগীর মাতবর সিবিএনকে জানান, যুগ যুগ ধরে এ এলকার মানুষ অবহেলিত ছিলো। দুই ইউনিয়নের মাঝখানে সংযোগ স্থাপনকারী সেতুর পূর্ব পাশে লেমশীখালী মতির বাপের পাড়া গ্রাম পশ্চিম পাশে কৈয়ারবিল ইউনিয়নের সেন্টার পাড়া সেতু না থাকায় যুগের পর যুগ এলাকার মানুষের চলাচলের জন্য সহজ কোন মাধ্যম ছিলো না। যার ফলে মানুষের দুর্ভোগ আর ভোগান্তির মধ্যে দিন কাটাতে হতো। দুর্ভোগের সেই যুগের অবসান হলো। সেতুটি এলাকার মানুষের স্বপ্ন ছিলো। বাস্তবায়ন হওয়ার পুরো এলাকার দৃশ্যপট পাল্টে গেছে।

সারাদেশ-এর আরও খবর