দেড় লাখ রোহিঙ্গা শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু

  বিশেষ প্রতিনিধি    19-06-2023    112
দেড় লাখ রোহিঙ্গা শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে পাঁচ দিনব্যাপী শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। আগামী বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ৩৩টি আশ্রয়শিবিরের অন্তত ১ লাখ ৫২ হাজার ৩৫৬টি শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) মহিউদ্দিন খান আলমগীর প্রথম আলোকে বলেন, এবার সমন্বিতভাবে জেলার শিশুদের সঙ্গে রোহিঙ্গা শিশুদেরও ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে। জেলার শিশুরা আজ এক দিন ভিটামিন এ ক্যাপসুল পাবে। কিন্তু রোহিঙ্গা শিশুরা ক্যাপসুল খাওয়ার সুযোগ পাবে আরও চার দিন। আশ্রয়শিবির দুর্গম পাহাড় ও ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য পাঁচ দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

আজ সকাল ৮টা থেকে উখিয়ার কুতুপালং, লম্বাশিয়া, মধুরছড়া, বালুখালী, ময়নারঘোনা, টেকনাফের নয়াপাড়া, শালবাগান, জাদিমুরাসহ ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে অন্তত ১৯০টি কেন্দ্রে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রায় ২৭ হাজার শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয় বলে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়। ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের একটি করে নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের একটি করে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। সঙ্গে চালানো হচ্ছে পুষ্টি বার্তার প্রচারণা।

‘জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০২৩’–এর আওতায় সারা দেশে দিনব্যাপী এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

লম্বাশিয়া আশ্রয়শিবিরের সি ব্লকের রোহিঙ্গা কাদির হোসেন (৫৬) বলেন, সকালে তাঁর পরিবারের দুই নাতিকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। আগে রোহিঙ্গাদের মধ্যে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো নিয়ে ভ্রান্ত ধারণার প্রচলন ছিল। এখন কম–বেশি সবাই শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে আগ্রহী হচ্ছেন।

বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১২ লাখ। এর মধ্যে সাত বছরের নিচে শিশুর সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ। সুত্র: প্রথম আলো

সারাদেশ-এর আরও খবর