দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ -২০২৪

  বিশেষ প্রতিনিধি    10-01-2024    92
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ -২০২৪

পর্যবেক্ষণ ছিল দেখার মত নাটকীয় কিছু স্মার্ট প্রতারণার দৃশ্য!

গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র গুলো থেকে ধারণ করা হলো, সে সকল কেন্দ্র গুলোর মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা আমাদের চৌকস টীম এর নজরে আসে। সে সব ঘটনার কিছু স্থির চিত্র এবং ভিডিও ধারণ এর কিছু অংশ প্রকাশ করা হল। তার মধ্যে সকাল ৮.২৫ মিঃ রাজার বাগ পুলিশ লাইন কেন্দ্রে কোন এজেন্ট ও ভোটার ছিল না।

০৯.২০ মতিঝিল আইডিয়াল কেন্দ্রে পরিদর্শন কালে সাথে ছিল সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। তখন পর্যন্ত একেক বুথে ভোট কাস্ট হলো ৬/৭/৮ টা !

০৯.৪০ মিঃ সিদ্ধীশ্বরী গার্লস স্কুল কেন্দ্রে এমন কিছু মুখ খোলেন সিইসি। তিনি বলেন নৌকার পুলিঙ এজেন্ট ছাড়া অন্য কোন এজেন্ট নাই কেন হতাশার কথা জানান।

১০.২৫ মিঃ সব থেকে বড় অসঙ্গতি দেখা মিলল পল্টন মহিলা কলেজ কেন্দ্রে যেখানে পুলিঙ এজেন্ট পরিচয়পত্র ছাড়া দায়িত্ব পালন কালে চৌকস টীম এর চোখে পড়ল। এজেন্ট কে জিজ্ঞাসা করলে মহিলা এজেন্ট চিৎকার চেছামেছি শুরু করে আইডেন্টিটি না থাকায় তাকে পুলিশ এর হাতে সোপার্দ করা হয়।

১১.৩০মিঃ টিকাটুলী কামরুল নাহার গার্লস স্কুলে সবাই খাবার দাবার নিয়ে ব্যস্ত ছিল।। কারন কোনো ভোটার নাই শীত কালকে পুঁজি করে পূর্ব নোটিশের আলোকে সকল কেন্দ্রে একই বাক্য উচ্চারিত হয়। বিকেলে ভোটার আসবে সবাই রান্না করে আসবে।

১২.০৫ মিঃ বাসাবো বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং বাসাবো শহীদ জিয়া হাই স্কুল কেন্দ্রেতো নির্বাচন কমিশনের দেয়া পরিচয়পত্র ছাড়াই প্রার্থীর এজেন্টরা দায়িত্ব পালন করছেন। কেন্দ্রের ভিতরে বসে এজেন্ট পরিচয় দিয়ে প্রার্থীর ছবি সহ কার্ড গলায় দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করতে দেখা যায় অনেক কে। কেন্দ্রের প্রিসাইডিঙ অফিসারকে অবহিত করলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নাই। তিনি এই ধরনের ভুল হবেনা বলে উপস্থিত সকলের কাছে ক্ষমা চান।

০১.৫০ মিঃ কদম তলা উচ্চ বিদ্যালয়, মাদারটেক আব্দুল আজিজ হাই স্কুল কেন্দ্রে প্রিসাইডিঙ অফিসার খাদ্য অধিদপ্তরের ৩৩ বিসিএস আমিনুল ইসলাম কে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা শাসিয়ে তার রুম থেকে বের হতে নিষেধ করেন। স্থানীয় কিছু নেতা কর্মীদের কেন্দ্রে আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়।

বিকেল ২.৩০ সব থেকে বড় অনিয়ম পাওয়া যায় বনস্রী মডেল হাই স্কুলে উক্ত কেন্দ্রে আমাদের চৌকস টীম ২ জন ভুয়া ভোটার কে হাতে নাতে ধরে পুলিশ এর হাতে হস্তান্তর করেন। একই কেন্দ্রে আরও বড় ধরনের অনিয়ম খুঁজে পাই আমরা এই কেন্দ্রে সহকারী প্রিসাইডিঙ অফিসার জনতা ব্যাংকের অসৎ অফিসার নিজেই ব্যলট পেপার এ সীল মারতে দেখা যায় আমাদের চৌকস টীম তাকেও পুলিশ এর হাতে সোপার্দ করেন। অবশ্য পরে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের সুপারিশে এবং ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে অফিসার কে ছেড়ে দেওয়া হয়।

০৩.৩৫মিঃ আমাদের চৌকস টীম এর সর্বশেষ কেন্দ্র ভিজিট ছিল সেগুন বাগীছা হাই স্কুল কেন্দ্র এখানে আরো কিছু মজার অনিয়ম চোখে পড়ল সাধারণত ভোট কাস্ট এর সর্বশেষ সময় হলো ৪টা পর্যন্ত কিন্ত, এই কেন্দ্রে ৪টা ১৭ মিনিট পর্যন্ত বুথ কক্ষে সীল মারা আমাদের চৌকস টীমের দৃস্টিগোচর হয়। সাথে সাথেই আমরা উপস্থিত সহকারি প্রিসাইডিঙ অফিসার অসিত কুমার পাল প্রভাষক হাবুবুল্লা বাহার কলেজ কে প্রশ্ন করলে তিনি কোন সদুত্তর না দিতে না পেরে পালানোর চেষ্টা করেন।

তিনিও একই প্রন্থায় ক্ষমা চান এভাবে প্রতিটি কেন্দ্রের একই অবস্থা চোখে পড়ার মতো দৃশ্য! সব থেকে বড় কথা হলো এটা যে একটা জাতীয় নির্বাচন তাতে জনগনের মধ্যে কোন উচ্ছ্বাস ছিল না। যাহা ছিল একটা প্রাণহীন এবং প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন।

যেখানে যায়নাই কোন সাংবাদিক,পর্যবেক্ষক, স্টাইকিং টিম। কেন্দ্রের রাজত্ব ছিল এজেন্ট ও সহকারী প্রিসাইডিংদের হাতেই। ২/৩% ভোটার এসেছে তাও কাজের ভুয়া, শ্রমিক এবং কিছু দলীয় কর্মী। অপ্রাপ্ত বয়স্ক এবং ৭/৮ বছরের শিশু দের ও কেন্দ্রের ভিতরে দেখা যায়। সারাদিনের পর্যবেক্ষনে এটাই প্রমাণিত। চ্যালেঞ্জ করে বলা যায়, যেকোনো কেন্দ্রের ২/১ টি বুথের স্মার্ট প্রতারণা করে বক্সে ঢুকানো ভোট ও ভোটার দের সাক্ষাৎকার নিলেই ৫-৮% মিল পাওয়া যেতে পারে। বাকি ৯২-৯৫% ভুয়া প্রমাণিত হবে বলে বিস্বাস করি।

এককথায় বলা যায় এই নাটকিয় নির্বাচনে যত এজেন্ট, কর্মী, প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং,পোলিং অফিসার,পর্যবেক্ষক, আইন শৃঙ্গলা বাহিনীর যত জন ছিল, কোন কেন্দ্রে ততজন ভোটার ও আসেনাই।।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা।
ডাঃ হাছান আহমেদ মেহেদী।
ডেইলি বাংলাদেশ নিউজ।
পরিদর্শন আসন ঢাকা -৮,৯,১০।

সারাদেশ-এর আরও খবর